প্রতিদিন প্রতিবেদক : নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলের তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ আমিনুর রহমান খান বাপ্পী’র ১৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে শনিবার (২১নভেম্বর) সকালে এক শোক র‌্যালী বের করা হয়। পরে শহীদ বাপ্পী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন, কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া বেলা ১১টার দিকে কলেজ পাড়া (পানি ট্যাংক) স্থলে গণভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে এবং সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার বড় ভাই তরুণ এই আওয়ামী লীগ নেতা।

শহীদ বাপ্পির স্মৃতিস্তম্ভে ও শোক র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল (ঘাটাইল-৩) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আতোয়ার রহমান খান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর খান মেনু,

ঘাটাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমানুর রহমান খান (রানা) ও পরে বাপ্পি’র ঘনভোজে অংশ গ্রহণ করেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন (এমপি),

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক এম. এ রৌফ, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শ্রমিকলীগ নেতা মো: আব্বাস আলী,

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ রাজিব, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাউহিদুল ইসলাম নাজমুল, যুবলীগ নেতা মামুন জামান সজল, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আানোয়ার হোসেন খোকন ও

৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি শাহরিয়ার ইসলাম সিমান্ত সহ শহীদ বাপ্পির পরিবারবর্গ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

এছাড়া বাদ মাগরিব জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে

উল্লেখ্য, আমিনুর রহমান খান বাপ্পি ২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী হামলায় টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকায় তাঁদের বাসার কাছে নিহত হন। এ সময় বাপ্পির সঙ্গী আবদুল মতিন নামের এক ব্যক্তিও নিহত হন। বাপ্পি হত্যার দুইদিন পর ২৩ নভেম্বর আমিনুরের বাবা আতাউর রহমান খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় মামলা করেন।

মামলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ছোট দুই ভাই মুরাদ সিদ্দিকী ও আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান, জেলা বিএনপির নেতা আলী ইমাম তপন, পৌর কমিশনার রুমি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আবদুর রৌফসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ২০০৭ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।