প্রতিদিন প্রতিবেদকঃ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার বন্যা কবলিত এরাকায় ঘুরে ঘুরে নিজ অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পানি বন্দি মানুষের পশে ছুটে চলছেন।
বুধবার ( ৬ই আগস্ট ) দিন ব্যাপি সদর উপজেলার মগরা ইউনিয়ন ও গালা ইউনিয়নে ৩০০ শত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন । এ সময় গালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজকুমার এবং মগরা ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইতিপূর্বে সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার বন্যা কবলিত এরাকায় ঘুরে ঘুরে নিজ অর্থায়নে ৬০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার পৌছে দেন।
সোমবার (৩ই আগস্ট ) দিনব্যাপি মাহমুদনগর ইউনিয়ন,হুগরা ইউনিয়ন ও কাকুয়া ইউনিয়ন এই তিনটি ইউনিয়নে যারা পানি বন্দি রয়েছে তাদের মাঝে শুকনো খাবার পৌছে দেন শামীমা আক্তার। প্রতি ইউনিয়নে ২০০ করে তিনটি ইউনিয়নে মোট ৬০০শত পরিবারকে নিজ অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়। শুকনো খাবারের মধ্যে ছিলেন, চিড়া,মড়ি,গুর।
এসময় ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তারের সাথে উপস্থিত ছিলেন, কাতুলি ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ,১,২,৩নং ওয়াডের মহিলা মেম্বার নাজমা বেগম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুয়েল, মাহমুদ নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বাদশা মোল্লা,মনির, হুগরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়াডের মেম্বার দবির উদ্দিন ।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার চলতি করোনা যুদ্ধে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করে নজর কেড়েছেন। গত মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুরে করটিয়ায় সিএনজি চালিত শতাধিক অটোরিকশা চালকদের মাঝে তিনি মানবিক সহায়তা হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
জানাগেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় কর্মহীন মানুষের মাঝে তিনি গত ২৬ মার্চ থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেন। করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমা আক্তার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে ৮ হাজার মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণের পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ করেছেন।
এছাড়াও সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার সদর উপজেলার বাইরেও বৃদ্ধ ও পরিচিত দুস্থদের মাঝে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়া সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নে ১২০ পরিবার, হুগড়ায় ১০০, ঘারিন্দায় ২০০, করটিয়া ইউনিয়নের ৩০০ পরিবার, পোড়াবাড়ীতে ৬০, বাঘিলে ১২০, কাতুলীতে ১০০, দাইন্যায় ১০০, মামুদ নগরে ১৬২টি পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে চাল, ডাল, তেল, সাবান, পেঁয়াজ ইত্যাদি বিতরণ করেন। এছাড়া মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেম, বিভিন্ন পেশার শ্রমিক, কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে মানবিক সহায়তা দিয়েছেন। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের বাড়ি বাড়ি মানবিক সহায়তা হিসেবে খাদ্য সামগ্রী নিজস্ব কর্মীর মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছেন।
কাকুয়া ইউনিয়ন চেচয়্যারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, করটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু, গালা ইউপি চেয়ারম্যান রাজকুমার দাস, দাইন্যা ইউপি চেয়ারম্যান মো. লাভু মিয়াসহ ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার ব্যক্তি উদ্যোগে কর্মহীন মানুষের পাশে যেভাবে দাড়িয়েছেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফা জানান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে সদর উপজেলার কর্মহীনদের পাশে রয়েছেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার জানান, উপজেলা পরিষদে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সরকারিভাবে মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রটা খুবই ছোট। অথচ তার এলাকার শ’ শ’ মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে কর্মহীন মানুষদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেন।
এক্ষেত্রে তার স্বামী ব্যবসায়ী মো. তানজিলুর রহমানসহ পরিবারের সবাই তাকে সহায়তা করছেন। তিনি আরো জানান, করোনার কারণে নির্বাচনের পর আবার প্রত্যন্ত এলাকার সকল জনগোষ্ঠীর সাথে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে।