সংবাদ শিরোনাম:
কালিহাতীতে কলেজ অধ্যক্ষ ও ইউপি চেয়ারম্যানের দ্রুত বিচার এবং প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ

কালিহাতীতে কলেজ অধ্যক্ষ ও ইউপি চেয়ারম্যানের দ্রুত বিচার এবং প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ

প্রতিদিন প্রতিবেদক : কালিহাতীতে নারান্দিয়া টিআরকেএন স্কুল এন্ড কলেজে ৭ই মার্চ অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে দুই শিক্ষককে মারপিট করে প্রতিষ্ঠানে তালা লাগানোর অভিযোগ অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার ও গভর্নিং বডির সদস্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মামুদের দ্রুত বিচার এবং প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। 

শনিবার ( ৯ মার্চ) সকালে নারান্দিয়া স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীরা ক্লাস কার্যক্রমে অংশ না নিয়ে প্রায় ৫শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুল ক্যাম্পাসের ভিতরে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে।

বিক্ষোভ মিছিলে তারা অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার বহিস্কার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মামুদের শাস্তি দাবী করে। এ দিকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা ক্লাস বর্জন করে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন।

কালিহাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি করিমুন্নেছা সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিম,

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পটল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেন্দ্র নাথ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক রতন কুমার দত্ত, উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহকারি প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহিম।

বক্তরা শিক্ষকদের মারপিটের তীব্র নিন্দা জানান এবং মারপিটকারীদের দ্রুত শাস্তি দাবী করেন। এমতাবস্থায় কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেবনাথ আহত শিক্ষক নজরুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলেন এবং বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

পরে আহত শিক্ষক নজরুল ইসলাম উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদৈর জানান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ছেড়ে দেয় এবং পরিস্থিতি শান্ত হয়।

অপরদিকে পরিস্থিতি বে-গতিক দেখে তাৎক্ষণিক গোপনে বিদ্যালয়টি ছুটি ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নারান্দিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ শিক্ষকদের মারধোরের বিষয়ে অস্বীকার করে জানান, ধমক টমক দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে হয়েছে। তানা হলে খুন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

উল্লেখ্য, গত ৭ই মার্চ  বড় আকারে উদযাপনের আবেদন করলে অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ক্ষুব্ধ হয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও সহকারি শিক্ষক আব্দুর রহিমকে মারপিট করে।

অধ্যক্ষ ঘটনাটি গভর্নিং বডির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মামুদকে জানালে তৎক্ষনাত স্কুলে এসে সহকারি শিক্ষক আব্দুর রহিম ও সাকিবকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা সমবেত হয়ে অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও করে। পরিবেশ সামাল দিতে ঐ দিন অধ্যক্ষ গোপনে কোন নৌটিশ ছাড়াই স্কুল ছুটি ঘোষনা করে তালা লাগিয়ে চলে যায়।

পরে মোবাইল ফোনে ইউএনও নিকট শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও শিক্ষার্থীরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অধ্যক্ষের বহিষ্কার এবং গভর্নিং বডির সদস্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদের বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থনা করেন।

স্কুল এন্ড কলেজ চলাকালীন দুই শিক্ষকের মধ্যে অপ্রীতিকর এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.




© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।
নির্মান ও ডিজাইন: সুশান্ত কুমার মোবাইল: 01748962840